সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবহাওয়া অনুকূলে, বঙ্গোপসাগরে ফের মাছ ধরা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বৈরী আবহাওয়ায় ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধারা শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে বলে জানিয়েছে ফিশিং বোট মালিক সূত্র।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানান, কক্সবাজারে ছোট-বড় প্রায় সাত হাজার যান্ত্রিক নৌযান সাগরে মাছ ধরে। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ট্রলারই সাগরে মাছ ধরতে গেছে। বাকি ট্রলারগুলোও রবি-সোমবারের মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে যাবে।

তিনি জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জুলাই মাসের ২৩ তারিখ শেষ হলেও সাগর উত্তাল থাকায় ওই মাসে সাগরে মাছ ধরতে পারেনি জেলেরা। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে মোটামুটি নিয়মিত সাগরে আসা-যাওয়া সম্ভব হলেও ওই মাসের শেষদিকে আবারও সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে মাছ না ধরেই ফিরে আসতে হয় জেলেদের। কিন্তু পক্ষকালের বেশি সময় পর শনিবার থেকে সাগরের আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে এলে জেলেরা মাছ ধরা জন্য আবারও সাগরে যেতে শুরু করেছে।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির মতে, সাগরে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন আকারের বোট রয়েছে। এর মধ্যে বড় বোটে ৩০-৪০ জন এবং ছোট বোটে ৫-১৭ জন জেলে থাকে। আবার কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র দুজন জেলে। ট্রলারগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো গভীর বঙ্গোপসাগরে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরে। যে কারণে ইলিশ জালের বোটগুলো পক্ষকালের রসদ নিয়ে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো সাগরে মাত্র একদিনের রসদ নিয়ে মাছ ধরতে যায়।

বিহিন্দি জালে ইলিশ ব্যতীত ছোট আকারের প্রায় পাঁচ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাঁচকাড়া’ (পাঁচ প্রকারের) মাছ বলা হয়। কক্সবাজার জেলার লক্ষাধিক জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষভাবে সাগরে মাছধরার ওপর নির্ভরশীল।

আর.এইচ/ আই.কে.জে/

বঙ্গোপসাগর

খবরটি শেয়ার করুন